মুকুল কান্তি দাশ, চকরিয়া:
১০ বছর বয়সী মিফতাহ মণি নামের শিশু গৃহকর্মী নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে স্বামী-স্ত্রীর নামে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় কক্সবাজারের চকরিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়। নিহত শিশুর বাবা বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন। পরে মামলাটি এজাহার হিসেবে অর্ন্তভুক্ত করেন চকরিয়া থানা। ই মামলায় দুইজনকে আসামী করা হয়েছে।
নিহত শিশুমেয়ে মিফতাহ মণি মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাঙ্গা এলাকার ছৈয়দ নূরের মেয়ে।
আসামীরা হলেন- চকরিয়া উপজেলার হাজিয়ান এলাকার কামাল হারুন (৪০) ও তাঁর স্ত্রী সুমা আকতার (৩২)। হারুন একটি ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে কর্মরত। নিহত শিশুটির বাড়ি কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায়। সে হারুন-সুমা দম্পতির বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করত।
এজাহার সুত্রে জানা গেছে, গত ১৪ মাস আগে কামাল হারুনের বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজে যায় মেয়েটি। এর মধ্যে সে মহেশখালীতে নিজ বাড়িতে যেতে চাইলে ক্ষুব্ধ হন হারুন-সুমা দম্পতি। এর প্রেক্ষিতে ১০ মে দুপুরে মেয়েটিকে মারধর করা হয়। তার কাঁধে, পিঠে, পেটে, ঊরুতে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়। একপর্যায়ে সে মারা যায়। পরে ওই নিহত শিশুকে ফ্রিজে রেখে দেয়।
মামলার বাদী মেয়েটির বাবা ছৈয়দ নূর বলেন, প্রথমে তাঁকে জানানো হয়, মেয়ে ডায়রিয়ায় মারা গেছে। তখন তাঁদের বলা হয় মেয়ের লাশ মহেশখালীর বাড়িতে পৌঁছে দিতে। কামালা হারুণ চকরিয়া থেকে একটি এম্বলেন্সে করে লাশটি বাড়িতে পৌঁছে দেন। পরে মেয়ের শরীরে তাঁরা নির্যাতনের চিহ্ন দেখতে পান। পরে ঘটনাটি মহেশখালী থানাকে অবহিত করেন মেয়ের বাবা।
মহেশখালী থানার একটি পুলিশ টিম ঘটনাস্থলে একস লাশ উদ্ধার করে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। এরপর কক্সবাজার সদর হাসপাতালে লাশের ময়নাতদন্ত হয়। প্রাথমিক তদন্তে ওই শিশুর শরীরে বিভিন্ন আঘাতে চিহৃ পাই।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, মেয়েশিশুকে হত্যার বিষয়ে অনেক যাচাই-বাছাই ও তদন্ত করা হয়েছে। এরপর নির্যাতনের পর হত্যার অভিযোগে মামলা নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নিহত মেয়েশিশুকে মহেশখালীস্থ নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়েছে। মামলা আসামী হারুন-সুমা দম্পতিকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।
পাঠকের মতামত